প্রকাশিত: ২১/০৫/২০১৫ ১০:৫০ অপরাহ্ণ
অনিশ্চিত হয়ে পরেছে সালাউদ্দিনের আইন প্রক্রিয়া

76251_sl
শুভজ্যোতি ঘোষ বিবিসি বাংলা, দিল্লি |
ভারতের মেঘালয়ে আটক বাংলাদেশের বিএনপি রাজনীতিক সালাহউদ্দিন আহমেদকে আদালতে পেশ করার প্রক্রিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে যাচ্ছে। রাজ্য পুলিশ সূত্রে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, তিনি পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগে তাকে আদালতে নেওয়া হবে না। কিন্তু এ ব্যাপারে ডাক্তারদের ছাড়পত্র কবে মিলবে সে ব্যাপারে তারা কিছুই বলতে পারছেন না। বিষয়টা এখন আমাদের হাতে নেই, এটা ডাক্তারদের ওপরই নির্ভর করছে, শিলংয়ে ইস্ট খাসি হিলস থানার পুলিশ সুপার এম খারক্রাং বিবিসিকে বলেন। মেঘালয়ের রাজধানীর এই থানার অধীনেই মি আহমেদ এখন বন্দি আছেন। বুধবার সন্ধ্যায় সালাহউদ্দিন আহমেদ-কে শিলংয়ের সিভিল হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নেগ্রিমসে স্থানান্তরিত করা হয়। গত মার্চ মাসে ঢাকায় অপহৃত হওয়ার প্রায় দুমাস পর ১১ই মে ভারতের শিলংয়ে রহস্যজনকভাবে আবির্ভূত হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের দায়ে সে দিনই তার বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্ট ১৯৪৬ অনুযায়ী মামলা দায়ের করে পুলিশ, কিন্তু তার দশদিন পর এখনও তাকে সেই মামলায় আদালতে হাজির করা হয়নি। মি আহমেদের হৃদযন্ত্রের ও কিডনি ঘটিত অল্প কিছু সামান্য আছে বলে চিকিৎসকরা এর আগে জানিয়েছেন, এবং নেগ্রিমসে বিশেষজ্ঞ কার্ডিওলজিস্ট ও নেফ্রোলজিস্টদের দিয়ে তাঁর জন্য বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। ফরেনার্স অ্যাক্টে যার বিরুদ্ধে মামলা ঝুলছে, সেরকম একজন বিচারাধীন বন্দির জন্য চিকিৎসার এই ধরনের আয়োজন ভারতে শুধু বিরল নয়, সম্ভবত নজিরবিহীনও। মেঘালয় পুলিশ সূত্র থেকে জানা গেছে, আসলে তারা চাইছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ এখন যত দিন সম্ভব হাসপাতালেই থাকুন। দিল্লি থেকে তার ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশ না এলে এই মামলায় যে এখনই খুব একটা অগ্রগতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই, সেটাও তারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এদিকে সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদসহ তাঁর পরিবারের কয়েকজন বন্ধু-আত্মীয় ও বিএনপির জনাকয়েক নেতা গত কয়েকদিন ধরে শিলং-এ আছেন। মিসেস আহমেদ তাঁর স্বামীর জন্য শিলং হাইকোর্টের একজন আইনজীবী নিয়োগ করেছেন, স্বামীর সঙ্গে রোজই প্রায় দুবেলাই তিনি দেখাও করছেন। কিন্তু মিসেস আহমেদ আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁর স্বামীকে সিঙ্গাপুরের মতো তৃতীয় কোনও দেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার কথা বললেও সেরকম কোনও সম্ভাবনা এখন আদৌ দেখা যাচ্ছে না। বরং আগামী বেশ কিছুকাল মি: আহমেদকে বিচারাধীন বন্দী হয়ে থাকতে হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই, যাদের মাধ্যমে ঢাকার ইন্টারপোল দফতর মি আহমেদের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ পাঠিয়েছে, তারাও বলছেন মি আহমেদ কবে বাংলাদেশে ফিরতে পারবেন তা এখনই বলা সম্ভব নয়। বাংলাদেশে আর একজন মোস্ট ওয়ান্টেড আসামি, নারায়ণগঞ্জ হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত নূর হোসেন যে প্রায় এক বছর হতে চলল ভারতেরই একটি জেলে আটক আছেন সে কথাও তারা মনে করিয়ে দিয়েছেন।

পাঠকের মতামত

  • ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত
  • হিমায়িত মাংস ও দুধ খাওয়ার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণা সপ্তাহ
  • সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারকালে নারী ও শিশুসহ ১৮ জন রোহিঙ্গা উদ্ধার, এক দালাল আটক
  • বৌদ্ধ তারুণ্য সংগঠন- সম্যক এর ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
  • টেকনাফে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
  • টেকনাফে পুলিশের অভিযানে ১৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার
  • কর্মক্ষেত্রে অনন্য কক্সবাজারের একমাত্র নারী ইউএনও নীলুফা ইয়াসমিন
  • টেকনাফে অর্ধডজন মামলার আসামি ডাকাত আবুল খায়েরসহ গ্রেপ্তার-২
  • ১৫ ঘন্টা পর ট্রলারসহ ৫৬ জেলেকে ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমারের নৌবাহিনী
  • চকরিয়ায় থানার সামনে সাংবাদিকের উপর হামলা
  • সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারকালে নারী ও শিশুসহ ১৮ জন রোহিঙ্গা উদ্ধার, এক দালাল আটক

    সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারকালে নারী ও শিশুসহ ১৮ জন রোহিঙ্গা উদ্ধার, এক দালাল আটক

      আব্দুস সালাম, টেকনাফ:: সাগরপথে টেকনাফের বাহারছড়ায় মালয়েশিয়া পাচারকালে নারী ও শিশুসহ ১৮ জন রোহিঙ্গাকে ...